হজরত আবু বক্কর সিদ্দিক رضي الله عنه ইসলাম গ্রহন ও হুজুরﷺর গায়েবী জ্ঞানী তার মুজিযা।
=====================
সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)
হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه ইসলাম গ্রহনের আগে অনেক বড় ব্যাবসায়ী ছিলেন।তিনি তখন ব্যাবসায়িক ব্যাপারে একবার সিরিয়া গিয়েছিলেন।
তথায় এক রাত্রি তে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে আসমান থেকে চাঁদ সূর্য অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কোলের উপর এসে পড়ে।তিনি স্বীয় হাতে চাঁদ সূর্য কে ধরে বুকে লাগালেন এবং নিজের চাদরে জরিয়ে নিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি এক ঈশায়ী পাদরীর কাছে গেলেন এবং ওর কাছে সেই স্বপ্নের তাবীর জিজ্ঞেস করলেন।
পাদরী তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কে? তিনি বলিলেন আমার নাম আবু বকর,আমি মক্কার অধিবাসী।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন আপনি কোন গোত্রের লোক??তিনি বললেন আমি বনু হাশেম গোত্রের লোক।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন জীবিকা উৎস কি? উত্তর দিলেন ব্যাবসা।
এবার পাদরী বললেন মনোযোগ সহকারে শুনুন------শেষ নবী হযরত মোহাম্মাদ ﷺ তাশরীফ এনেছেন।।তিনি ও সেই বনু হাশিম গোত্রের অন্তভূক্ত, তিনিই শেষ নবী।যদি তিনি না হতেন আল্লাহতালা আসমান জমীন কিছুই সৃষ্টি করতেন না। অন্য কোনো নবীও সৃষ্টি করতেন না। তিনি সকল নবীদের সর্দার।।
হে আবু বকর!!আপনি ও তার ধর্মে শামিল হয়ে যাবেন তাঁর উজীর হবেন এবং তার পরে তাঁর খলিফা মনোনীত হবেন।।এটাই আপনার স্বপ্নের তাবীর(ব্যাক্ষা)....।
এটাও জেনে নিন আবু বকর যে আমি এ মহান নবীর প্রশংসা ও গুণকীর্তন তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে পড়েছি, আমি তার উপর ইমান এনেছি এবং মুসলমানহয়েছি।।কিন্ত ঈশায়ীদের ভয়ে স্বীয় ঈমান প্রকাশ করিনি।।হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه যখন তাঁর স্বপ্নের এ তাবীর শুনলেন তখন মনের মধ্যে ইশকে রাসুলের জজবা(ভালোবাসার ঝড়) সৃষ্টি হলো, কাল বিলম্ব না করর মক্কায় ফিরে আসলেন।
।মক্কায় ফিরে এসে হুজুরের সন্ধান নিয়ে হুজুরের দরবারে হাজির হলেন এবং হুজুরকে দেখে চক্ষু জুড়ালেন।।
হুজুর ﷺ বললেন আবু বকর তুমি এসে গেছো??আর দেরি কর না তাড়াতাড়ি সত্য ধর্মে দাখিল হয়ে যাও।সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه বললেন খুবই ভালো কথা হুজুর। তবে কোনো মোজিযা দেখালে খুশি হতাম।।
হুজুর ﷺ বললেন, আবু বকর!!যে স্বপ্ন তুমি সিরিয়ায় দেখে এসেছো এবং পাদরীর মুখ থেকে যে তাবীর শুনে এসেছ সেটাই তো আমার মোজিযা।।
এই শুনে সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه নিজে মুখে বলতে শুরু করলেন------
*"সাদাকতা ইয়া রাসুলিল্লাহে ইন্না আসহাদু আন্নাকা রাসুলাল্লাহ"*
অর্থাৎঃ--- হে আল্লাহর রসুল আপনি সত্য বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি বাস্তবিকই আল্লাহর সত্যি কার রসুল।
[[সূত্রঃ----(১)জামেউল মুজিজাত পৃস্টা নং-৪(২)ইসলামের বাস্তব কাহীনি ১ম খন্ড পৃস্টা নং-৮-৯]]
আমাদের শিক্ষণীয়ঃ----
হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু হুজুর সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লাম উজির ও বরহক খলীফা।।এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহন করার সবক রয়েছে আমাদের কাছে------
(১)আল্লাহতালা সুরা জ্বীন এর ২৬-২৭ নাম্বার আয়াতে বলেন-----
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا**إِلَّا مَنِ ارْتَضَىٰ مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا
অর্থাৎ---তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তাই কারো কাছে তিনি তাঁর রহস্যপ্রকাশ করেন না,তবে রসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকেব্যতীত।সেজন্য নিশ্চয় তিনি তাঁর সামনে ও তাঁর পেছনে প্রহরী নিয়োজিত করেন।।
এ থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহতালা তাঁর প্রিয়তম রসুল দের কাছে তিনি গায়েবী ইল্ম দান করেছেন।।রসুল ব্যাতিত অন্য কাউকে গায়েব তিনি প্রকাশ করেন নি।।
এখনো কি আপনি বিশ্বাস করবেন না?? আল্লাহ্ কাছে আমার নবী পাক থেকে অন্য কেউ অধিক নিকটস্থ আছেন?
সুতরাং বোঝা গেলো আল্লাহতালা প্রদত্ত গায়েবি জ্ঞান দ্বারা নবী পাক এর ইল্মে গায়েব খবর জানেন।
(২)আল্লাহতালা আরো সুরা নিসা ১১৩ নাম্বার আয়াতের শেষে বলেন----
وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ ۚ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
অর্থাৎঃ--আপনার জা জানা ছিলো না তিনি আপনাকে সবই শিক্ষা দিয়েছেন তা ছিল আপনার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ।
এই ভাবে আল্লাহতালা নবী পাকের উপর কিছুই অজানা রাখেননি।।আমরা যে সকল বিষয় গুলি জানতে পারলাম তা সংক্ষেপে দেখা যাক------
(১)আমাদের নবী পাক সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম এর কাছে কোনো কথা গোপন থাকেনি।।তাই তিনি অনেক মানুষের অন্তরের গোপন কথা বলে দিয়েছেন।।মুনাফিক দের অন্তরের কপটতা প্রকাশ করে তাদের কে মসজিদে নবাবী থেকে বার করে দিয়েছেন।।
(২)নবী শব্দের অর্থ হলো *অদৃশ্য সংবাদ দাতা*।। তাই আমার নবী পাক ﷺ অদৃশ্য জ্ঞানে জ্ঞানী অর্থাৎ ইলমে গাইবের খবর জানেন।
(৩)আরো জানা গেলো হুজুর ﷺ এর বদৌলতে এই দুনিয়ার সমস্তকিছু সৃষ্টিহয়েছে।।তিনি না হলে এই দুনিয়ার কিছুই আল্লাহতালা সৃষ্টি করতেন না।।
ইমামে আহলে সুন্নত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, গওসে আযম এর কারামাত, কাদেরী তরীকার নক্ষত্র আশিকের অন্তরের স্পন্দন ১৪ শতাব্দির মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেজা খাঁন সুন্দর ছান্দিক ভাষায় লিখছেন---------
*অ জো নাথে তো কুছ না-থা*
*অ জো না হো তো কুছ না হো*
*জান হ্যাঁয় অ জাহান কি*
*জান হ্যাঁয় তো জাহান হ্যাঁয়।*
অর্থাৎঃ---তিনিﷺ না হলে কিছুই হতোনাতিনিই জগতের প্রাণপ্রান আছে বলেই জগত বহাল আছে।
সর্বশেষ একটি হাদীস পেশ করে এই ঘটনা ও ইল্মে গাইবের মুজিজা কে প্রমান দিয়েছেন ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহ আলাই।।হজরত উমর রাদ্বি আল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,.....
তিনি বলেন হুজুরﷺ আমাদের সামনে দণ্ডায়মান হলেন অতঃপর সৃষ্টি জগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা বেহেশত বাসীরা বেহেস্ত এবং দোযখ বাসীরা দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সব কিছু আমাদের সামনে বলে দিলেন।আমাদের মধ্যে যারা মুখস্থ রাখতে পেরেছেন তারা মুখস্থ রেখেছেন; আর যারা ভুলে যাবার তারা ভুলে গেছেন।।
সূত্রঃ-----
(১)সহীহ-বুখারী শরিফ, হাদিস নং--৩০২০,
কিতাবুল বাদায়িল খালক্ব
এই একই হাদীস অন্য সনদে হযরত হুযাইফা রাদ্বি-আল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ননা করা হয়েছে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহ আলাই উভয়েই নকল করেছেন তাদের সহিহ কিতাবে।।
(১)সহীহ বুখারী শরিফ হাদীস নং-৬২৩০, কিতাবুল কদর
(২)মুসলীম শরিফ, হাদীস নং-২৮৯১ কিতাবুল ফিতনা
আরো শিক্ষণীয় ব্যাপার যে এই দুনিয়ার সব চেয়ে উত্তম ব্যাক্তি নবী ﷺ এর পরে সিদ্দিকে আকবর আবু বকর رضي الله عنه ইমান আনা ঘটনাটিই হলো হুজুর ﷺ এর ইল্মে গাইবের জ্ঞানের উপর বিশ্বাস এনে কলেমা পড়া তথা ইমান আনা।।
আজকে যারা হুজুরের ইল্মে গাইব তথা ইল্ম নিয়ে প্রশ্ন করে??সেই সকল জামাত আহলে হাদীস, লা মাযহাবী, দেওবন্দী,জামায়াত ইসলামী, তাবলীগ জামাত, কাদীয়ানী,যারা হুজুর কে মুর্খ বললো,যারা হুজুর কে আনপার বলল, যারা হুজুরের গাইবের ইল্ম জ্ঞান কে নিয়ে বলতে পারে হুজুরের জ্ঞান গরু গাধা ছাগলের ও সেই জ্ঞান এর সমান (নাউজুবিল্লা মিনহা জালিক)..
এই সকল শয়তানী শিষ্যগোষ্ঠী গুলির উপর আল্লাহতালার লানত বর্ষিত হোক।।
আমরা আহলে সুন্নাত ওয়ায়া জামাত ইমান ও আকিদা রাখি হুজুরের মুজিযা কে সামনে রেখে।।
*সিদ্দিক কি সাদাকাত*
*উমর কি আদালাত*
*উসমান কি সাখাওয়াত*
*আলি কি সাজায়াত ও বেলায়ত*
বিনা দলিলে সাদাকাত, আদালত, সাখাওয়াত,সাজায়াত ও বিলায়ত কে মেনে নেওয়ার নামই ইমান ও আকিদা।।
আমাদের আহলে সুন্নত ওয়া জামাতের ইমান ও আকিদা কে সিদ্দিকের সাদাকাতের ওসিলাই কবুল করুন।।
সকল কে হক বলার ও হক কে হক বলে মেনে নেওয়ার তৌফিক দান করুন।।
বাতিল গোমরাহী দল গুলি থেকে আমাদের ইমান কে রক্ষা করুন।
আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
বিঃদ্রঃ---ইমান আকিদা আরো লেখা আপডেট করছি ইনশাআল্লাহ ভিজিট করুন শেয়ারিং করুন এই পেজ ব্লগ লিঙ্ক কে।
=====================
সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)
হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه ইসলাম গ্রহনের আগে অনেক বড় ব্যাবসায়ী ছিলেন।তিনি তখন ব্যাবসায়িক ব্যাপারে একবার সিরিয়া গিয়েছিলেন।
তথায় এক রাত্রি তে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে আসমান থেকে চাঁদ সূর্য অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কোলের উপর এসে পড়ে।তিনি স্বীয় হাতে চাঁদ সূর্য কে ধরে বুকে লাগালেন এবং নিজের চাদরে জরিয়ে নিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি এক ঈশায়ী পাদরীর কাছে গেলেন এবং ওর কাছে সেই স্বপ্নের তাবীর জিজ্ঞেস করলেন।
পাদরী তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কে? তিনি বলিলেন আমার নাম আবু বকর,আমি মক্কার অধিবাসী।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন আপনি কোন গোত্রের লোক??তিনি বললেন আমি বনু হাশেম গোত্রের লোক।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন জীবিকা উৎস কি? উত্তর দিলেন ব্যাবসা।
এবার পাদরী বললেন মনোযোগ সহকারে শুনুন------শেষ নবী হযরত মোহাম্মাদ ﷺ তাশরীফ এনেছেন।।তিনি ও সেই বনু হাশিম গোত্রের অন্তভূক্ত, তিনিই শেষ নবী।যদি তিনি না হতেন আল্লাহতালা আসমান জমীন কিছুই সৃষ্টি করতেন না। অন্য কোনো নবীও সৃষ্টি করতেন না। তিনি সকল নবীদের সর্দার।।
হে আবু বকর!!আপনি ও তার ধর্মে শামিল হয়ে যাবেন তাঁর উজীর হবেন এবং তার পরে তাঁর খলিফা মনোনীত হবেন।।এটাই আপনার স্বপ্নের তাবীর(ব্যাক্ষা)....।
এটাও জেনে নিন আবু বকর যে আমি এ মহান নবীর প্রশংসা ও গুণকীর্তন তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে পড়েছি, আমি তার উপর ইমান এনেছি এবং মুসলমানহয়েছি।।কিন্ত ঈশায়ীদের ভয়ে স্বীয় ঈমান প্রকাশ করিনি।।হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه যখন তাঁর স্বপ্নের এ তাবীর শুনলেন তখন মনের মধ্যে ইশকে রাসুলের জজবা(ভালোবাসার ঝড়) সৃষ্টি হলো, কাল বিলম্ব না করর মক্কায় ফিরে আসলেন।
।মক্কায় ফিরে এসে হুজুরের সন্ধান নিয়ে হুজুরের দরবারে হাজির হলেন এবং হুজুরকে দেখে চক্ষু জুড়ালেন।।
হুজুর ﷺ বললেন আবু বকর তুমি এসে গেছো??আর দেরি কর না তাড়াতাড়ি সত্য ধর্মে দাখিল হয়ে যাও।সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه বললেন খুবই ভালো কথা হুজুর। তবে কোনো মোজিযা দেখালে খুশি হতাম।।
হুজুর ﷺ বললেন, আবু বকর!!যে স্বপ্ন তুমি সিরিয়ায় দেখে এসেছো এবং পাদরীর মুখ থেকে যে তাবীর শুনে এসেছ সেটাই তো আমার মোজিযা।।
এই শুনে সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه নিজে মুখে বলতে শুরু করলেন------
*"সাদাকতা ইয়া রাসুলিল্লাহে ইন্না আসহাদু আন্নাকা রাসুলাল্লাহ"*
অর্থাৎঃ--- হে আল্লাহর রসুল আপনি সত্য বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি বাস্তবিকই আল্লাহর সত্যি কার রসুল।
[[সূত্রঃ----(১)জামেউল মুজিজাত পৃস্টা নং-৪(২)ইসলামের বাস্তব কাহীনি ১ম খন্ড পৃস্টা নং-৮-৯]]
আমাদের শিক্ষণীয়ঃ----
হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু হুজুর সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লাম উজির ও বরহক খলীফা।।এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহন করার সবক রয়েছে আমাদের কাছে------
(১)আল্লাহতালা সুরা জ্বীন এর ২৬-২৭ নাম্বার আয়াতে বলেন-----
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا**إِلَّا مَنِ ارْتَضَىٰ مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا
অর্থাৎ---তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তাই কারো কাছে তিনি তাঁর রহস্যপ্রকাশ করেন না,তবে রসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকেব্যতীত।সেজন্য নিশ্চয় তিনি তাঁর সামনে ও তাঁর পেছনে প্রহরী নিয়োজিত করেন।।
এ থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহতালা তাঁর প্রিয়তম রসুল দের কাছে তিনি গায়েবী ইল্ম দান করেছেন।।রসুল ব্যাতিত অন্য কাউকে গায়েব তিনি প্রকাশ করেন নি।।
এখনো কি আপনি বিশ্বাস করবেন না?? আল্লাহ্ কাছে আমার নবী পাক থেকে অন্য কেউ অধিক নিকটস্থ আছেন?
সুতরাং বোঝা গেলো আল্লাহতালা প্রদত্ত গায়েবি জ্ঞান দ্বারা নবী পাক এর ইল্মে গায়েব খবর জানেন।
(২)আল্লাহতালা আরো সুরা নিসা ১১৩ নাম্বার আয়াতের শেষে বলেন----
وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ ۚ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
অর্থাৎঃ--আপনার জা জানা ছিলো না তিনি আপনাকে সবই শিক্ষা দিয়েছেন তা ছিল আপনার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ।
এই ভাবে আল্লাহতালা নবী পাকের উপর কিছুই অজানা রাখেননি।।আমরা যে সকল বিষয় গুলি জানতে পারলাম তা সংক্ষেপে দেখা যাক------
(১)আমাদের নবী পাক সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম এর কাছে কোনো কথা গোপন থাকেনি।।তাই তিনি অনেক মানুষের অন্তরের গোপন কথা বলে দিয়েছেন।।মুনাফিক দের অন্তরের কপটতা প্রকাশ করে তাদের কে মসজিদে নবাবী থেকে বার করে দিয়েছেন।।
(২)নবী শব্দের অর্থ হলো *অদৃশ্য সংবাদ দাতা*।। তাই আমার নবী পাক ﷺ অদৃশ্য জ্ঞানে জ্ঞানী অর্থাৎ ইলমে গাইবের খবর জানেন।
(৩)আরো জানা গেলো হুজুর ﷺ এর বদৌলতে এই দুনিয়ার সমস্তকিছু সৃষ্টিহয়েছে।।তিনি না হলে এই দুনিয়ার কিছুই আল্লাহতালা সৃষ্টি করতেন না।।
ইমামে আহলে সুন্নত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, গওসে আযম এর কারামাত, কাদেরী তরীকার নক্ষত্র আশিকের অন্তরের স্পন্দন ১৪ শতাব্দির মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেজা খাঁন সুন্দর ছান্দিক ভাষায় লিখছেন---------
*অ জো নাথে তো কুছ না-থা*
*অ জো না হো তো কুছ না হো*
*জান হ্যাঁয় অ জাহান কি*
*জান হ্যাঁয় তো জাহান হ্যাঁয়।*
অর্থাৎঃ---তিনিﷺ না হলে কিছুই হতোনাতিনিই জগতের প্রাণপ্রান আছে বলেই জগত বহাল আছে।
সর্বশেষ একটি হাদীস পেশ করে এই ঘটনা ও ইল্মে গাইবের মুজিজা কে প্রমান দিয়েছেন ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহ আলাই।।হজরত উমর রাদ্বি আল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,.....
তিনি বলেন হুজুরﷺ আমাদের সামনে দণ্ডায়মান হলেন অতঃপর সৃষ্টি জগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা বেহেশত বাসীরা বেহেস্ত এবং দোযখ বাসীরা দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সব কিছু আমাদের সামনে বলে দিলেন।আমাদের মধ্যে যারা মুখস্থ রাখতে পেরেছেন তারা মুখস্থ রেখেছেন; আর যারা ভুলে যাবার তারা ভুলে গেছেন।।
সূত্রঃ-----
(১)সহীহ-বুখারী শরিফ, হাদিস নং--৩০২০,
কিতাবুল বাদায়িল খালক্ব
এই একই হাদীস অন্য সনদে হযরত হুযাইফা রাদ্বি-আল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ননা করা হয়েছে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহ আলাই উভয়েই নকল করেছেন তাদের সহিহ কিতাবে।।
(১)সহীহ বুখারী শরিফ হাদীস নং-৬২৩০, কিতাবুল কদর
(২)মুসলীম শরিফ, হাদীস নং-২৮৯১ কিতাবুল ফিতনা
আরো শিক্ষণীয় ব্যাপার যে এই দুনিয়ার সব চেয়ে উত্তম ব্যাক্তি নবী ﷺ এর পরে সিদ্দিকে আকবর আবু বকর رضي الله عنه ইমান আনা ঘটনাটিই হলো হুজুর ﷺ এর ইল্মে গাইবের জ্ঞানের উপর বিশ্বাস এনে কলেমা পড়া তথা ইমান আনা।।
আজকে যারা হুজুরের ইল্মে গাইব তথা ইল্ম নিয়ে প্রশ্ন করে??সেই সকল জামাত আহলে হাদীস, লা মাযহাবী, দেওবন্দী,জামায়াত ইসলামী, তাবলীগ জামাত, কাদীয়ানী,যারা হুজুর কে মুর্খ বললো,যারা হুজুর কে আনপার বলল, যারা হুজুরের গাইবের ইল্ম জ্ঞান কে নিয়ে বলতে পারে হুজুরের জ্ঞান গরু গাধা ছাগলের ও সেই জ্ঞান এর সমান (নাউজুবিল্লা মিনহা জালিক)..
এই সকল শয়তানী শিষ্যগোষ্ঠী গুলির উপর আল্লাহতালার লানত বর্ষিত হোক।।
আমরা আহলে সুন্নাত ওয়ায়া জামাত ইমান ও আকিদা রাখি হুজুরের মুজিযা কে সামনে রেখে।।
*সিদ্দিক কি সাদাকাত*
*উমর কি আদালাত*
*উসমান কি সাখাওয়াত*
*আলি কি সাজায়াত ও বেলায়ত*
বিনা দলিলে সাদাকাত, আদালত, সাখাওয়াত,সাজায়াত ও বিলায়ত কে মেনে নেওয়ার নামই ইমান ও আকিদা।।
আমাদের আহলে সুন্নত ওয়া জামাতের ইমান ও আকিদা কে সিদ্দিকের সাদাকাতের ওসিলাই কবুল করুন।।
সকল কে হক বলার ও হক কে হক বলে মেনে নেওয়ার তৌফিক দান করুন।।
বাতিল গোমরাহী দল গুলি থেকে আমাদের ইমান কে রক্ষা করুন।
আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
বিঃদ্রঃ---ইমান আকিদা আরো লেখা আপডেট করছি ইনশাআল্লাহ ভিজিট করুন শেয়ারিং করুন এই পেজ ব্লগ লিঙ্ক কে।
No comments:
Post a Comment