Wednesday, 25 April 2018

বিষয়ঃ---মোহাম্মাদ ﷺ সৃষ্টির রহস্য! উপস্থাপনায়ঃ-- সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)

বিষয়ঃ---মোহাম্মাদ ﷺ সৃষ্টির রহস্য!
উপস্থাপনায়ঃ-- সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)

বিষয়ঃ---মোহাম্মাদ ﷺ সৃষ্টির রহস্য!
উপস্থাপনায়ঃ-- সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)
"নবী মোর পরশ মনি
নবী মোর সোনার খনি"
কবির শাব্দিক ছন্দ দিয়ে আজকের শুরু...
আমরা সকলেই শুনেছি "পরশ পাথর", কবি এখানে লিখেছেন "পরশ মনি"।। পার্থক্য একটি শব্দের মধ্যে যা হলো "পাথর ও মনি"।
আমরা পাথর বলতে বুঝি সাধারণ মাটি বালির জমাটবাধা খন্ড কে,আর মনি বলতে বুঝি এক মুল্যবান রত্ন কে।।
পরশ পাথর(philosopher's stone)কে যদি ব্যাক্ষা করা হয় তার মানে দাঁড়ায়....
যে পাথরের স্পর্শে ইতর ধাতু স্বর্ণে পরিণত হয় বলে প্রাচীনকালে বিশ্বাস করা হতো।।
এখান থেকে আমি এটাই বোঝাতে চায়ছি যে "পরশ মনি" শব্দের দ্বারা কবি কি বোঝাতে চাইছেন।।
যে মোহাম্মাদ ﷺ এর সংস্পর্শ তে কোনো সাধারণ ব্যাক্তি আসলে সে মণি তে পরিণত হয়ে যায়।।
সেই মনি পরিণত হওয়ার ক্ষনি আল্লাহতালা আরবের বুকে মা আমিনার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।সেই ক্ষনি তো মদিনা তে রয়েছে...
যে ক্ষনির সন্ধানে মত্ত হয়ে মাওলানা রুমী রহমাতুল্লাহ আলাই  বলে উঠলেন.....


“দিদ হুছনে খেশ, বা চশমে শহুদ, 
খোদা তাজাল্লা করদ দর মূলকে অযুদ।”

 অর্থাৎ নিহারিল নিজ রূপ মানস আঁখিতে, সৃজিলেন বিশ্ব তিনি সে রূপ প্রকাশিতে। 

সেই রহস্য কে খোঁজা শেখালেন আদম আলাইহিস সালাম, খুঁজতে খুঁজতে আদম আলাইহিসালাম ৩০০ বছর অতিক্রম করে ফেলেছেন।।অবশেষে সেই পরশের নামের জ্বোতি দেখতে পান জান্নাতের দরজার উপর সাথে সাথে আল্লাহতালা দরবারে প্রার্থনা করেন আমি আমার হাত তুলেছি মালিক আপনার দরবারে আপনি আমাকে ক্ষমা করুন মোহাম্মদ ﷺ এর ওসিলায়।।

সেই নামের গুণগান নামের মাহাত্ম্য বর্নানা করতে গিয়ে সুফি  কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখলেন...
ও নামে মধুমাখা
ও নামে জাদু রাখা
ও নামে সুর ধরিয়া
পাখি যায় গান করিয়া....
ও নাম জপে যে জন
সেতো দোজাহানের ধনী।।


যে নামের গুণগান শুনে নবী মুসা আলাইহিসালাম উম্মত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বসেন আল্লাহতালা দরবারে।।
সেই নামের ব্যাক্তি কে যখন মুসা আলাইহিসালাম সামনে দর্শন করেন(সুবহানাল্লাহ) দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করতে ব্যাস্থ হয়ে পড়েন।। যে নবী মুসা আলাইহিসালাম ব্যাস্ত হতে থাকেন সেই মোহাম্মাদ ﷺর উম্মতিদের জন্য নামায কমিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে খিদমতগার হিসাবে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

সেই নবী মোহাম্মাদ ﷺ নামের ভালোবাসা তে পরে ইমাম বুশিরী রহমাতুল্লাহ আলাই রুগ্ন শরীরে বিছানা সহ্যায় পড়ে বলতে থাকেন.....

মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়াসল্লিম
দা ইমান আবাদা
আলা হাবিবিকা
খাইরিন খালক্বি কুল্লিহীমি

ইয়া রাব্বি বিল মোস্তফা
বাল্লিগ মাক্বাসিদানা
ওয়াগফিরলানা মা মাজাইয়া
ওয়াছিয়াল কারামিন।।


যে নামে মোহাম্মাদেﷺর ভালোবাসা তে পড়ে সুফী কবি শেখ সাদী রহমাতুল্লাহ আলাই লিখতে থাকেন.....

বালাগাল উলা বি-কামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বি-জামালিহি,
হাসুনাৎ জামিয়ু খিসালিহি,
সাল্লু আলায়হে ওয়া আলিহি।।
অর্থাৎ...
“সুউচ্চ শিখরে সমাসীন  তিনি নিজ মহিমায়
 তিমির-তমসা কাটিল  তার রূপের প্রভায়,
 সুন্দর আর সুন্দর তার স্বভাব চরিত্র  তামাম জানাও তাঁর ও তাঁর বংশের ‘পরে দরূদ-সালাম।”

যে নামের ভালো বাসাতে পড়ে ১৪ শতাব্দীকালের মুজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নত ইমাম শাহ্‌ আহমেদ রেযা খান রহমাতুল্লাহ আলাই বলে উঠলেন......
"সবছে আউলা ও আলা, হামারা নবী, 
সবছে বালা ও আলা, হামারা নবী।।"
অর্থাৎ...
"সবার সেরা, রবের পেয়ারা, সে আমাদের নূর নবীজী,
ভালোর চেয়ে ভালো, সেরাদের সেরা, আমাদের নূর নবীজী।।"

"খলক সে আউলিয়া, আউলিয়া সে রাসুল,
আউর রাসুলুছে আলা হামারা নবী।।"
অর্থাৎ...
সৃষ্টি থেকে আউলিয়া, আউলিয়া থেকে রাসুল বড়
আর রাসুলগণের মাঝে সেরা, আমাদের নূর নবীজী।।

যে নামে মোহাম্মাদের ভালো বাসায় স্বয়ং আল্লাহতালা পড়েন,ও আপন ফেরেশতা গন কে পড়ার হুকুম দেন....
إِنَّ اللَّهَ وَ مَلَئكتَهُ يُصلُّونَ عَلى النَّبىّ‏ِ يَأَيهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا صلُّوا عَلَيْهِ وَ سلِّمُوا تَسلِيماً
INN ALLAHA WA MALAIKATAHU YU SALLUNA ALAN NABI YA AYYUHAL LAZEENA AMANU SALLU ALAIHI WA SALLIMU TASLIMA
যে নবীর ভালো বাসাতে পরে দুনিয়ার সমস্তকিছু আল্লাহতালা দান করে দিলেন....
 إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
Inna aAAtaynaka alkawthara
নিঃসন্দেহ আমরা তোমাকে প্রাচুর্য দিয়েছি।

যে নবি ﷺ কে সমগ্র দুনুয়ার জন্য রহমত রুপে দিলেন...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত আলমের জন্য রহমত-
 وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ [২১:১০৭] 
অর্থাৎ হে প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টিতে রহমত করে পাঠিয়েছি।

যে নবী ﷺ এর ভালবাসা তে আল্লাহতালা দুনিয়ার জন্য হাজির নাজির জাহির ও বাতেন করে পাঠালেন...
কুরআনে সূরা হাদীদে বর্নিত হয়েছে-
 هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ 
অর্থাৎ তিনিই আদি, তিনিই অন্ত, তিনিই জাহের (ব্যক্ত), তিনিই বাতেন (গুপ্ত) এবং তিনিই সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।।


যে নবী কে কাছে পেয়ে আবু বকর সীদ্দিকে আকবরে পরিণত হলো,যে নবী কে পেয়ে ওসমান সখী তে পরিণত হলো,যে নবী কে পেয়ে উমর গনী তে পরিণত হলো,যে নবী কে পেয়ে আলি মুশকিল কুশাতে পরিণত হল সেই নবী ﷺ রহস্য খুঁজতে খুঁজতে জগৎবিখ্যাত দার্শনিক গাজ্জালীয়ে জামান ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহ আলাই আপন দর্শন বিদ্যাবলে প্রকাশ্য করলেন সেই হাজার হাজার বছরের শত শত রাত্রের গবেষণার ফলকে  নিজ গ্রন্থের মধ্যে লিপিবদ্ধ করলেন(সুবহানআল্লাহ).......

সেই রহস্যময় ঘটনাদি গুলি  বর্ননা করলেন নিজের সহজ সরল ভাষাতে.....

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক শাজারাতুল একীন’ নামে চারটি কাণ্ডবিশিষ্ট একটি গাছ সৃষ্টি করেন। অতঃপর ময়ূরের আকৃতিতে নূরে  মােহাম্মদীকে শুভ্র মুক্তার আবরণের মধ্যে সৃষ্টি করে ওই গাছের উপর রেখে দেন। এই রকম  অবস্থায় তিনি সত্তর হাজার বৎসর আল্লাহর তসবীহ্ পাঠে নিবিষ্ট থাকে। তারপর আল্লাহ পাক লজ্জার আয়না তৈরী করে তাহার সামনে রেখে দেন। যখন তিনি আয়নার মধ্যে স্বীয় নিজস্ব সুন্দর লাবণ্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ছবি দেখতে পান, তখন তিনি লজ্জিত হয়ে আল্লাহ তায়ালাকে পাঁচ বার অবনত মস্তকে সেজদাহ্ করেন।

 এই জন্যই হযরত মােহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মতের উপর নির্দিষ্ট সময়ে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়েছে।

আল্লাহ্ পুনঃরায় যখন উক্ত নূরের প্রতি তাকিয়ে দেখলেন, তখন উহা আল্লাহর ভয়ে লজ্জিত ও ঘর্মাক্ত হয়ে যায়। তার মাথার ঘাম হতে আল্লাহ্ পাক ফেরেশতা গনকে এবং মুখমণ্ডলের ঘাম হতে আরশ-কুরসি, লৌহ মাহফুজ, কলম, চন্দ্র-সূর্য, পর্দাসমূহ, তারকারাজি এবং আকাশাস্থিত সমুদয় বস্তু সৃষ্টি করেন।

কর্ণদ্বয়ের ঘাম হতে ইহুদী, নাছারা, অগ্নি উপাসক এবং অন্যান্য অনুরূপ জাতিদের আত্মা সৃষ্টি করেন। 


পদদ্বয়ের ঘাম হতে ভূমণ্ডলস্থিত সমুদয় বস্তু সৃষ্টি করেন। 

অতঃপর আল্লাহ তায়ালা নূরে মােহাম্মদীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্মুখপানে তাকাতে আদেশ করেন। 
তিনি সম্মুখপানে তাকালে তাঁহার সামনে, পিছনে, উত্তরে, দক্ষিণে যথাক্রমে হযরত আবু বকর, হযরত ওমর, হযরত ওসমান ও হযরত আলী রাজিয়াল্লাহু আনহুমের নূর দেখতে পান।

অত:পর নূরে মােহাম্মদী (ﷺ) সত্তর হাজার বৎসরকাল আল্লাহর তসবীহ পাঠে অতিবাহিত করেন। |
আল্লাহ তায়ালা নূরে মােহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সমস্ত নবীদের নূর সৃষ্টি করে তার প্রতি তাকানো মাত্রয় সমস্ত নবীগণের আত্মা সৃষ্টি  হয়ে বলে উঠল
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মােহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।”
অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা লােহিত আকীক পাথরে একটি ফানুস বা লণ্ঠন তৈরী করে হযরতকে নামাজের সুরতে তাতে বসিয়ে রাখেন।

অতঃপর উল্লিখিত আত্মসমূহ নূরে মােহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এক লক্ষ বৎসর ধরে প্রদক্ষিণ করেন এবং তাসবীহ তাহলীল পাঠ করে শুকরিয়া আদায় করেন। 

ঐ সময় আল্লাহ তাহাদের কে নূরে মােহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে আদেশ করেন। 

এই আত্মসমূহের মধ্যে যাঁরা তাঁর পবিত্র মস্তক দেখতে পান, তাঁরা পরিণামে খলীফা ও বাদশাহ হন। 

যাঁরা পবিত্র মুখমণ্ডল দেখতে পান, তাঁহারা ন্যায়পরায়ন আমীর সাধক (বাদশা) হন।

 যাঁরা কর্ণদ্বয় দেখতে পান, তাহারা সত্যের সাধক হন।

যারা নেত্রদ্বয় দেখতে পান-তাঁরা পবিত্র কোরআনের তত্ত্বাবধায়ক হইবার সৌভাগ্য লাভ করেন। 

ক্রুদ্বয়ের দর্শকগণ হন ভাগ্যবান।
 যাঁরা গণ্ডদ্বয় দেখেন, তারা হেকীম, ডাক্তার ও সুগন্ধি-বিক্রেতা হন।

 যাহারা ওষ্ঠ মােবারক দেখিতে পান, তারা রুপবান ও উজির হন এবং মুখগহ্বর যাঁরা দেখেন, তাঁরা রােজাদাররূপে, দন্তরাজির দর্শকগণ সুন্দর নর-নারী রূপে, রসনা মােবারকের দর্শকগণ রাজদূতরূপে, 

হলকুমের দর্শকগণ বক্তা, মােয়াজ্জেন ও উপদেষ্টারূপে, 
শুশ্রু মােবারকের দর্শকগণ ধর্ম-যােদ্ধারূপে, গ্রীবা মােবারকের দর্শকগণ ব্যবসায়ীরূপে, বাহুদ্বয়ের দর্শকবৃন্দ তীরন্দাজ ও তরবারী যোদ্ধারূপে, ডান বাহুর দর্শকগণ নাপিতরূপে, বাম বাহুর দর্শকগণ জল্লাদ ও বীর পুরুষরূপে, ডান হস্তের দর্শকগণ সাব্বাক ও শিল্পীরূপে, বাম হস্তের দর্শকগণ কয়ালরূপে, উভয় হস্তের দর্শকগণ দানবীর বিজ্ঞরূপে, হাতের পিঠ দর্শকগণ কৃপণ ও অসঞ্জপে, ডান হস্তের পিঠ দর্শকগণ রজকরূপে, বাম হস্তের পিঠ দর্শকগণ কাঠুরিয়া রূপে, অঙ্গুলী দর্শকগণ মুন্সীরূপে (লেখক) ডান হস্তের আঙ্গুলীর পিঠ দর্শকগণ দরজীরূপে, বাম হস্তাঙ্গুলির পিঠ দর্শকগণ কর্মকার রূপে, 

বক্ষ দর্শকগণ আলেম সমাজতাহিদ চিন্তাবিদ ও কৃতজ্ঞরূপে, পৃষ্ঠ দর্শকগণ ধর্মানুরাগীরূপে, পেশানী দর্শকগণ গাজীরূপে, উদরাদেশ দর্শকগণ স্বল্পে তুষ্ট ও সংসার ত্যাগীরূপে, হাঁটুদ্বয় দর্শকগণ রুকু সেজদাকারীরূপে,পদদ্বয় দর্শকগণ শিকারীরূপে, পদতল দর্শকগণ পর্যটকরূপে, ছায়া মােবারক দর্শকগণ গায়ক ও রুটি প্রস্ততকারকরূপে জন্ম নেন। 

যারা তাহাকে দেখিতে পায় নাই, তাহারাই খােদায়ী দাবীদার ফেরাউন নমরূদ ও অন্যান্য কাফেররূপে পরিগণিত হয়।

 যারা তাঁর প্রাত দৃষ্টিপাত করা সত্ত্বেও দেখিতে পায় নাই তাহারা ইহুদী, নাছারা অগ্নি উপাসক ইত্যাদি রূপে পরিগণিত হয়।

আল্লাহ পাক হযরতের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহমদ নামের আকৃতিতে নামাজকে সৃষ্টি করিয়াছেন। যেমন নামাজে দণ্ডায়মান হওয়া আলিফ(ا) সদৃশ, রুকুর অবস্থা হা(ح)এর সদৃশ, সেজদা করা মিম(م)এর সদৃশ, এবং নামাজে উপবেশনাবস্থা দাল(د) এর সদৃশ। আল্লাহ মানুষকে হযরত মােহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামের আকৃতিতে সৃষ্টি করিয়াছেন। যেমন মিমের(م) মতই মানবের মস্তক গােলাকার, হস্তদ্বয় হা (ح) এর মত বাঁকা, উদরটি দ্বিতীয় মিমের(م)মতই মােটা ও গােল এবং পদ্বদয দাল(د) এর ন্যায় এই জন্যই-কাফের তার মানবাকৃতিতে অনলকুণ্ডে বা আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে না, বরং কাফেরকে শূকরের আকৃতিতে দোজখে নিক্ষিপ্ত করা হবে। | 

ইহার অধিক আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।

আমাদের অন্তরে নবীর ভালবাসার জ্ব্যোতি কে জালিয়ে দিন।
আল্লাহতালা আপনাকে আমাকে জ্ঞান অর্জনকারী দের মধ্যে সামিল করুন তার সাথে সাথে আমল করার তৌফীক দান করুন।।
আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।


বিঃদ্রঃ--আপনারা শেয়ারিং করে সকল কে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ করে দিন।।




Tuesday, 24 April 2018

হিডেন ট্রুথ অফ জাকির নায়েক[ডাঃ জাকির নায়েকের গোপন রহস্য]

হিডেন ট্রুথ অফ জাকির নায়েক
[ডাঃ জাকির নায়েকের গোপন রহস্য]

সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)
======================

আজকে আসুন এক গোপন তথ্যাদি গুলি আপনাদের কাছে তুলে ধরি।।ভারতের বিখ্যাত সালাফী গোস্টী তথাকথিত আহলে হাদিস নামে পরিচিত ইসলামিক গোস্টির নেতা বিখ্যাত স্কলার ডাঃ জাকির নায়েক।আসুন সেই ডাঃ সাহবের সাথে যারা সামনাসামনি কাজ, চলাফেরা করেছেন যেমন ড্রাইভার,বডিগার্ড,ফ্লিম প্রডিউসার, যারা ইসলামিক ভিডিও পরিবেশক ছিলেন তাদের প্রত্যেকের নিউজগ্রুপ কে দেওয়া বক্তব্য গুলি আজ একত্রিত ভাবে শুনে নেওয়া যাক--------------

(১)জাকির নায়েকের এক্স বডিগার্ড তার বক্তব্য------
https://youtu.be/4WQKY11ON9w

(২)পিস টিভির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার তার বক্তব্য----
https://youtu.be/AdmnshAToqE

(৩)জাকির নায়েকের এক ড্রাইভার------

https://youtu.be/x8ZynhFhhiQ

(৪)ভারতীয় মুসলিম কতো % শিক্ষার আলোতে আছে??কতো ড্রপ আউট??ইত্যাদি প্রশ্নকারী জি নিউজগ্রুপ সাংবাদিক তার উত্তর কি দিলেন জাকির নায়েক???

দেখুন
https://youtu.be/BdiHf9kSVQw

(৫)জাকির নায়েকr IRF সংস্থার উপর এক্স মুম্বাই পুলিশ কমিশনার সত্যপাল শিং রিপোর্ট ও তার বক্তব্য-----
https://youtu.be/tRBe3265uy8

(৬)দেখুনতো জাকির নায়েক এজিদ কে রহমাতুল্লাহ-আলাই বলছে???
নাউজুবিল্লা তার সাথে সহি বুখারীর হাদীসের নামে মিথ্যাচার করে (নাউজুবিল্লা)

https://youtu.be/c0VPkULVCC8

বিঃদ্রঃ---যে এজিদ এর মানের পরে রহমাতুল্লাহ বলতে পারে তাকে কি আপনি মুসলিম মানেন???

(৭) ডাঃ এর কথা ওসিলা হারাম,
[[বিঃদ্রঃ--কেয়ামত দিনে মহম্মদ সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লাম এর সুপারিশ(ওসিলা) ব্যাতিত কেউ নাজাত পাবে না]]

এই নালায়েক ডাঃ ওসিলা কে হারাম বলেছেন।।

https://youtu.be/uDcfgAgv6fA

(৮)জাকির নায়েক বলে হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওসাল্লাম শরির মাটিতে মিশে গেছে(নাউজুবিল্লা)।

https://youtu.be/ncYWAtiwHL8

(৯)ডাঃ সাহেবের কোরআন শরিফের নামে মিথ্যাচার এই যে কোরআন শরিফে ২৫টা আয়াতে সরাসরি ওসিলা নেওয়া যাবে না লেখা আছে।।ওথচ শ্রীলঙ্কা হাফিজ এহেসান কাদেরির সাথে বসে একটি আয়াত ও উচ্চারণকরে বলতে পারলেন না যেটা তে ওসিলা নেওয়া যাবে না।

https://youtu.be/z4v7NEA5DTs

(১০)জাকির নায়েক এর হাদিস এর নামে মিথ্যাচার ও এজিদ কে রাহিমুল্লাহ অর্থাৎ রহমাতুল্লাহ আলাই বলার জবাব

https://youtu.be/GbRXtw1wHGg

এই ভাবে যদি এই তথাকথিত ইসলামিক লেকচারার এর ভিডিও লিঙ্ক দিতে থাকি তাহলে লিঙ্কে ভরে যাবে।।


এই বিশ্ব তথা ভারতীয় মুসলিম এর দাবী এটাই।।যে সমস্ত মুসলিম যারা ইসলাম প্রচার করেছে তারা দুনিয়ার জেল কে ভয় করেনি বরং আখেরি জীবন কে সামনে রেখে নিজের জীবন কে বিলিন করে দিয়েছে ইসলাম ও নবীর দ্বীনের ও শরিয়াত জন্য।।যদি উদাহরণ চান তো মুজ্জাদিদে আলফেসানী রহমাতুল্লাহ আলাই কে দেখুন যিনি বাদশাহ আকবর এর নতুন ধর্মপ্রচার দ্বীন ইলাহি বিরুদ্ধবাদ করে নিজের জীবন কে জেলে কাটিয়ে দিলেন ও ইসলাম কে অ-পরিবর্তন রেখে মুসলিম সমাজের নয়নের মনী হয়ে রয়েগেলেন কেয়ামত পর্যন্ত।।কিন্ত তিনি বাদশাহর জেলের ভয়ে ইন্ডিয়া ত্যাগ করেঅন্য দেশে চলে যান নি।।

এখন প্রশ্ন হলো জাকির নায়েক যদি এতো টাই হক ও সত্য ইসলাম প্রচারক ও প্রচার করলেন যার জন্য তাকে ইন্ডিয়া ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিতে হলো????তার সৎ সাহস কেনো হচ্ছে না ইন্ডিয়া তেফিরে এসে নিজেকে সৎ প্রমাণিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপকারী হওয়ার???

আপনি সেই সকল ব্যাক্তি দের জীবনী দেখুন যারা প্রকিত ইসলাম কে ইসলাম বলে প্রতিস্টিত করেছেন।


আপনি সেই সকল ব্যাক্তি দের জীবনী দেখুন যারা প্রকিত ইসলাম কে ইসলাম বলে প্রতিস্টিত করেছেন।আপনি ভারতীয় আপনি কি করে ভূলে গেলেন খাজা আজমীর খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তী আজমীর রহমাতুল্লাহ আলাহি এর ধর্ম প্রচার এর বৈশিষ্ট্য গুলি কে???আজ এমন কি কেউ ইতিহাস বিদ আছে যার বিরুদ্ধাচার করে বলতে পারবে যে অন্য ধর্মের প্রতি অত্যাচার করেছেন???এমন কি কোনো ব্যাক্তি আছেন যার মাজার তে জিয়ারত করতে জাননি???আজ এপর্যন্ত যত প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেছেন সকলেই আজমীর গিয়েছেন।।আপনি কি করে ভুলে গেলেন....

(১)মুজাদ্দিদ বাদশাহ আউরাঙ্গজেব আলমগির রহমাতুল্লাহ আলাই
(২)মুজ্জাদিদ আলফেসানী রহমাতুল্লাহ আলাই
(৩)শাহ্‌ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী রহমাতুল্লাহ আলাই
(৪)শাহ আব্দুল আজিজ মোহাদ্দেস দেহলভী রহমাতুল্লাহ আলাই

আপনি আজ লক্ষ্য করুন আই এস আই সহ যত সন্ত্রাসী সংগঠন আছে তাদের ইসলাম বিশ্বাস ও এই সালাফীগোস্টী গুলি ইসলাম বিশ্বাস একই।।যেটাকেআমরা ইসলামিক ভাষায় আকিদা বলে থাকি।।

দুনিয়া এক এক শতক অতিক্রম করেছে ইতিহাস খুলে দেখুনতো কোনো সুফী ব্যক্তির উপর সন্ত্রাস এর অভিযোগ আছে কিনা????

আপনার বিবেকে এক বারো কি প্রশ্ন জাগে না???যদি সন্ত্রাসী রা ইসলামিক প্রচারক ও সঠিক হয় তাহলে তারা কেনো মসজিদ ও মাজারে বোমাবাজি করছে???

এর উত্তর কি জানেন????
এর উত্তর আজ শুনে রাখুন-----

এই সালাফীরা চায় প্রকিত ইসলাম কে ধ্বংস করে নিজেদের মতামত প্রতিস্টা করতে তাই তারা সুফী ব্যাক্তি ও তাদের ট্রাডিশান গুলির উপর আক্রমণ করে চলেছে।তার সাথে সাধারণ মানুষ কে হত্যা করে ভীত সন্ত্রস্ত করতে উদ্যত।।

আরো শুনে রাখুন এই সন্ত্রাসী দের বিশ্বাসের লিডার ও নেতা আব্দুল ওহাব নাজদী তার লিখিত "কিতাবুত তাওহীদ" সংগ্রহ করে স্টাডি করুন প্রত্যেক লাইন সন্ত্রাসী দের বিশ্বাসের সাথে মিলে যাবে।।

তাই তো আব্দুল ওহাব নাজদী প্রথম সৌদিআরব 1922 এর পর ২টি কবরস্থান যা দুনিয়ার জান্নাত নামে ইসলামে পরিচিত।। জান্নাতুল বাকি ও জান্নাতুল মোয়াল্লা তে বুলডোজার দিয়া সমস্ত মাজার ধ্বংস করেছিল।।আজো সেই সন্ত্রাসী দের টার্গেট দুনিয়ার সুফীদের মাযার ও সুফী দের মসজিদ।।

আপনার বিবেকে আরো কি প্রশ্ন আসেনা??? পাকিস্তান মুসলিম দেশ তাহলে মুসলিম সন্ত্রাসী গোস্টী কেনো পাকিস্তানে মাজারে মসজিদে বোমা মারছে???

এই একটি উত্তর কিতাবুত তাওহীদ।। যার মধ্যে লেখা পৃথীবিতে যত মাযারসুফী দের নিদর্শন আছে তা গুঁড়িয়ে দাও।।সেই আদর্শ কে মাথায় নিয়ে আজ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে।।সেই বিখ্যাত নেতা কে জাকির নায়েক তথা সালাফী সম্প্রদায় নিজেদের ইমাম তথা ইসলামের গাইডলাইন মনে করে।।


অতিকরুন কথা হলেও সত্যি আজ আমরা লাঞ্ছিত এই কারনে সৌদিআরব সহ মুসলিম শাসক গন ইহুদী নাসারা দের ডলার তে নিজেদের ইমান কে বিক্রি করে দিয়েছে।।বিক্রি করে দিয়ে হাজার হাজার রিয়াল পাঠাচ্ছে এই রকম জাকির নায়েকের মতন দালাল দিয়ে যারা উপমহাদেশীয় অঞ্চল গুলি তে সেই আব্দুল ওহাব নাজদীর প্রতিষ্টম্ভ কিতাবুল তওহীদ কে প্রচার করার জন্য।।

সেই জঘন্য ফাঁদের শিকারকৃত পাখি হলো এই জাকির নায়েক সহ তার সহচর্যে তৈরিকৃত তথাকথিত মুসলিম স্কলার ও তাদের প্রচারিত দল গুলি।।

আপনার মনে প্রশ্ন হওয়া কি উচিত নয়???সমস্তরকম সন্ত্রাসী হামলার ৯৯% এই উপমহাদেশীয় অঞ্চল গুলিতে কেন???


শুনে রাখুন এর উত্তর এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মুসলিম গন মূলত সুফী সম্প্রদায় এর মাধ্যমে নিজের জীবনে ইসলাম কে প্রতিস্টা করেছে।।সেইসুফী দের জামাত *আহলে সুন্নাত ওয়া জামাত* নামে পরিচিত।। তাই এই উপমহাদেশীয় অঞ্চল গুলিতে সালাফী মতবাদ ও তাদের কিতাবুত তওহীদ এর ভ্রান্ত মতাদর্শ কে প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামিক নিদর্শন গুলিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।।


১০০০ বার হলেও সত্যি যে যত মুসলিম নাম ধারী সন্ত্রাসী কে আপনি গ্রেফতার করবেন তার সাথে ইসলামিক বিশ্বাস তথা আকিদা নিয়ে যখন প্রশ্ন করবেন তখনি এই সালাফী তথা উপমহাদেশীয় নাম আহলে হাদীস সম্প্রদায় এর ইসলামিক আকিদার সাথে মিল পাবেন এটা আমার দাবী না এটাই ইন্টেলিজেন্স বুরো দ্বারা প্রমাণিত।।

আল্লাহতালা সকল মুসলিম এর ইমান ও প্রান কে হিফাজত করুন।।এই সন্ত্রাসী দল হাদীসের ভাষায় খারেজী তথাকথিত সালাফী রা হবে কেয়ামত দিনের জাহান্নামের কুত্তা ইনশাআল্লাহ।। এই জাহান্নামি কুত্তা দের থেকে নিজের ও পরিবারবর্গের ইমান কে বাঁচানোর কাজ শুরু করুন।।।

সকল কে বোঝার তৌফিক দিন আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।



হজরত আবু বক্কর সিদ্দিক رضي الله عنه ইসলাম গ্রহন ও হুজুরﷺর গায়েবী জ্ঞানী তার মুজিযা

হজরত আবু বক্কর সিদ্দিক رضي الله عنه ইসলাম গ্রহন ও হুজুরﷺর গায়েবী জ্ঞানী তার মুজিযা।

=====================

সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)

হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه ইসলাম গ্রহনের আগে অনেক বড় ব্যাবসায়ী ছিলেন।তিনি তখন ব্যাবসায়িক ব্যাপারে একবার সিরিয়া গিয়েছিলেন।

 তথায় এক রাত্রি তে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে আসমান থেকে চাঁদ সূর্য অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কোলের উপর এসে পড়ে।তিনি স্বীয় হাতে চাঁদ সূর্য কে ধরে বুকে লাগালেন এবং নিজের চাদরে জরিয়ে নিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি এক ঈশায়ী পাদরীর কাছে গেলেন এবং ওর কাছে সেই স্বপ্নের তাবীর জিজ্ঞেস করলেন।

পাদরী তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কে? তিনি বলিলেন আমার নাম আবু বকর,আমি মক্কার অধিবাসী।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন আপনি কোন গোত্রের লোক??তিনি বললেন আমি বনু হাশেম গোত্রের লোক।পাদরী জিজ্ঞেস করলেন জীবিকা উৎস কি? উত্তর দিলেন ব্যাবসা।

এবার পাদরী বললেন মনোযোগ সহকারে শুনুন------শেষ নবী হযরত মোহাম্মাদ ﷺ তাশরীফ এনেছেন।।তিনি ও সেই বনু হাশিম গোত্রের অন্তভূক্ত, তিনিই শেষ নবী।যদি তিনি না হতেন আল্লাহতালা আসমান জমীন কিছুই সৃষ্টি করতেন না। অন্য কোনো নবীও সৃষ্টি করতেন না। তিনি সকল নবীদের সর্দার।।

হে আবু বকর!!আপনি ও তার ধর্মে শামিল হয়ে যাবেন তাঁর উজীর হবেন এবং তার পরে তাঁর খলিফা মনোনীত হবেন।।এটাই আপনার স্বপ্নের তাবীর(ব্যাক্ষা)....।

এটাও জেনে নিন আবু বকর যে আমি এ মহান নবীর প্রশংসা ও গুণকীর্তন তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে পড়েছি, আমি তার উপর ইমান এনেছি এবং মুসলমানহয়েছি।।কিন্ত ঈশায়ীদের ভয়ে স্বীয় ঈমান প্রকাশ করিনি।।হজরত সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه যখন তাঁর স্বপ্নের এ তাবীর শুনলেন তখন মনের মধ্যে ইশকে রাসুলের জজবা(ভালোবাসার ঝড়) সৃষ্টি হলো, কাল বিলম্ব না করর মক্কায় ফিরে আসলেন।

।মক্কায় ফিরে এসে হুজুরের সন্ধান নিয়ে হুজুরের দরবারে হাজির হলেন এবং হুজুরকে দেখে চক্ষু জুড়ালেন।।

হুজুর ﷺ বললেন আবু বকর তুমি এসে গেছো??আর দেরি কর না তাড়াতাড়ি সত্য ধর্মে দাখিল হয়ে যাও।সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه বললেন খুবই ভালো কথা হুজুর। তবে কোনো মোজিযা দেখালে খুশি হতাম।।

হুজুর ﷺ বললেন, আবু বকর!!যে স্বপ্ন তুমি সিরিয়ায় দেখে এসেছো এবং পাদরীর মুখ থেকে যে তাবীর শুনে এসেছ সেটাই তো আমার মোজিযা।।

এই শুনে সিদ্দিকে আকবর رضي الله عنه নিজে মুখে বলতে শুরু করলেন------

*"সাদাকতা ইয়া রাসুলিল্লাহে ইন্না আসহাদু আন্নাকা রাসুলাল্লাহ"*

অর্থাৎঃ--- হে আল্লাহর রসুল আপনি সত্য বলেছেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি বাস্তবিকই আল্লাহর সত্যি কার রসুল।

[[সূত্রঃ----(১)জামেউল মুজিজাত পৃস্টা নং-৪(২)ইসলামের বাস্তব কাহীনি ১ম খন্ড পৃস্টা নং-৮-৯]]


আমাদের শিক্ষণীয়ঃ----

হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু হুজুর সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লাম উজির ও বরহক খলীফা।।এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহন করার সবক রয়েছে আমাদের কাছে------

(১)আল্লাহতালা সুরা জ্বীন এর ২৬-২৭ নাম্বার আয়াতে বলেন-----

عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا**إِلَّا مَنِ ارْتَضَىٰ مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا

অর্থাৎ---তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তাই কারো কাছে তিনি তাঁর রহস্যপ্রকাশ করেন না,তবে রসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকেব্যতীত।সেজন্য নিশ্চয় তিনি তাঁর সামনে ও তাঁর পেছনে প্রহরী নিয়োজিত করেন।।

এ থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহতালা তাঁর প্রিয়তম রসুল দের কাছে তিনি গায়েবী ইল্ম দান করেছেন।।রসুল ব্যাতিত অন্য কাউকে গায়েব তিনি প্রকাশ করেন নি।।

এখনো কি আপনি বিশ্বাস করবেন না?? আল্লাহ্‌ কাছে আমার নবী পাক থেকে অন্য কেউ অধিক নিকটস্থ আছেন?

সুতরাং বোঝা গেলো আল্লাহতালা প্রদত্ত গায়েবি জ্ঞান দ্বারা নবী পাক এর ইল্মে গায়েব খবর জানেন।


(২)আল্লাহতালা আরো সুরা নিসা ১১৩ নাম্বার আয়াতের শেষে বলেন----

وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ ۚ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا

অর্থাৎঃ--আপনার জা জানা ছিলো না তিনি আপনাকে সবই শিক্ষা দিয়েছেন তা ছিল আপনার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ।

এই ভাবে আল্লাহতালা নবী পাকের উপর কিছুই অজানা রাখেননি।।আমরা যে সকল বিষয় গুলি জানতে পারলাম তা সংক্ষেপে দেখা যাক------

(১)আমাদের নবী পাক সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম এর কাছে কোনো কথা গোপন থাকেনি।।তাই তিনি অনেক মানুষের অন্তরের গোপন কথা বলে দিয়েছেন।।মুনাফিক দের অন্তরের কপটতা প্রকাশ করে তাদের কে মসজিদে নবাবী থেকে বার করে দিয়েছেন।।

(২)নবী শব্দের অর্থ হলো *অদৃশ্য সংবাদ দাতা*।। তাই আমার নবী পাক ﷺ অদৃশ্য জ্ঞানে জ্ঞানী অর্থাৎ ইলমে গাইবের খবর জানেন।

(৩)আরো জানা গেলো হুজুর ﷺ এর বদৌলতে এই দুনিয়ার সমস্তকিছু সৃষ্টিহয়েছে।।তিনি না হলে এই দুনিয়ার কিছুই আল্লাহতালা সৃষ্টি করতেন না।।



ইমামে আহলে সুন্নত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, গওসে আযম এর কারামাত, কাদেরী তরীকার নক্ষত্র আশিকের অন্তরের স্পন্দন ১৪ শতাব্দির মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেজা খাঁন সুন্দর ছান্দিক ভাষায় লিখছেন---------

*অ জো নাথে তো কুছ না-থা*
*অ জো না হো তো কুছ না হো*
*জান হ্যাঁয় অ জাহান কি*
*জান হ্যাঁয় তো জাহান হ্যাঁয়।*

অর্থাৎঃ---তিনিﷺ না হলে কিছুই হতোনাতিনিই জগতের প্রাণপ্রান আছে বলেই জগত বহাল আছে।

সর্বশেষ একটি হাদীস পেশ করে এই ঘটনা ও ইল্মে গাইবের মুজিজা কে প্রমান দিয়েছেন ইমাম বুখারি রহমাতুল্লাহ আলাই।।হজরত উমর রাদ্বি আল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,.....

 তিনি বলেন হুজুরﷺ আমাদের সামনে দণ্ডায়মান হলেন অতঃপর সৃষ্টি জগতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তথা বেহেশত বাসীরা বেহেস্ত এবং দোযখ বাসীরা দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সব কিছু আমাদের সামনে বলে দিলেন।আমাদের মধ্যে যারা মুখস্থ রাখতে পেরেছেন তারা মুখস্থ রেখেছেন; আর যারা ভুলে যাবার তারা ভুলে গেছেন।।


সূত্রঃ-----
(১)সহীহ-বুখারী শরিফ, হাদিস নং--৩০২০,
কিতাবুল বাদায়িল খালক্ব

এই একই হাদীস অন্য সনদে হযরত হুযাইফা রাদ্বি-আল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ননা করা হয়েছে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহ আলাই উভয়েই নকল করেছেন তাদের সহিহ কিতাবে।।

(১)সহীহ বুখারী শরিফ হাদীস নং-৬২৩০, কিতাবুল কদর
(২)মুসলীম শরিফ, হাদীস নং-২৮৯১ কিতাবুল ফিতনা

আরো শিক্ষণীয় ব্যাপার যে এই দুনিয়ার সব চেয়ে উত্তম ব্যাক্তি নবী ﷺ এর পরে সিদ্দিকে আকবর আবু বকর رضي الله عنه ইমান আনা ঘটনাটিই হলো হুজুর ﷺ এর ইল্মে গাইবের জ্ঞানের উপর বিশ্বাস এনে কলেমা পড়া তথা ইমান আনা।।

আজকে যারা হুজুরের ইল্মে গাইব তথা ইল্ম নিয়ে প্রশ্ন করে??সেই সকল জামাত আহলে হাদীস, লা মাযহাবী, দেওবন্দী,জামায়াত ইসলামী, তাবলীগ জামাত, কাদীয়ানী,যারা হুজুর কে মুর্খ বললো,যারা হুজুর কে আনপার বলল, যারা হুজুরের গাইবের ইল্ম জ্ঞান কে নিয়ে বলতে পারে হুজুরের জ্ঞান গরু গাধা ছাগলের ও সেই জ্ঞান এর সমান (নাউজুবিল্লা মিনহা জালিক)..

এই সকল শয়তানী শিষ্যগোষ্ঠী গুলির উপর আল্লাহতালার লানত বর্ষিত হোক।।

আমরা আহলে সুন্নাত ওয়ায়া জামাত ইমান ও আকিদা রাখি হুজুরের মুজিযা কে সামনে রেখে।।

*সিদ্দিক কি সাদাকাত*
*উমর কি আদালাত*
*উসমান কি সাখাওয়াত*
*আলি কি সাজায়াত ও বেলায়ত*

বিনা দলিলে সাদাকাত, আদালত, সাখাওয়াত,সাজায়াত ও বিলায়ত কে মেনে নেওয়ার নামই ইমান ও আকিদা।।

আমাদের আহলে সুন্নত ওয়া জামাতের ইমান ও আকিদা কে সিদ্দিকের সাদাকাতের ওসিলাই কবুল করুন।।
সকল কে হক বলার ও হক কে হক বলে মেনে নেওয়ার তৌফিক দান করুন।।

বাতিল গোমরাহী দল গুলি থেকে আমাদের ইমান কে রক্ষা করুন।
আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।


বিঃদ্রঃ---ইমান আকিদা আরো লেখা আপডেট করছি ইনশাআল্লাহ ভিজিট করুন শেয়ারিং করুন এই পেজ ব্লগ লিঙ্ক কে।


Monday, 23 April 2018

বিষয়ঃ--- মুসলমান ও বেকারত্ব, উপস্থাপনায়ঃ-- সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)


বিষয়ঃ--- মুসলমান ও বেকারত্ব
সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব(পশ্চিমবঙ্গ)

[[বড় লেখা ধৈর্য সহকারে পড়ুন ইনশাআল্লাহ জীবনের নতুন দিশা পাবেন।।মতামত জানাবেন।।]]

বেকারত্ব কি?

বেকারত্ব একটি সামাজিক ব্যাধি অথবা সংকট। ইংরেজি তে আনএমপ্লোয়মেন্ট (Unemployment) শব্দটি থেকে বেকারত্ব শব্দটি এসেছে। একজন মানুষ যখন তার পেশা হিসেবে কাজ খুজে পায় না তখন যে পরিস্থিতির হয় তাকে বেকারত্ব বলে।



বেকারত্বের ধরণ ও প্রকারভেদ:--

দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সামাজিক অবকাঠামো, বেকারত্বের সংজ্ঞা, কারণ ও বৈশিষ্ট্যের বিচারে বেকারত্ব বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত দুর্বলতার ফলে সৃষ্টি হয় অবকাঠামোগত বেকারত্ব। হঠাৎ কোনো মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা স্থানান্তরের ফলে আকস্মিক বেকারত্বের সৃষ্টি হয়। কারিগরি বা প্রযুক্তিগত অপর্যাপ্ততার দরুণ বেকার সমস্যা তৈরি হয়। তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য মৌসুমি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেখা দেয় মৌসুমি বেকারত্ব। আবার কাজের ধরণের সঙ্গে শ্রমশক্তির দক্ষতার অসঙ্গতির ফলে সৃষ্টি হয় এক ধরণের বেকারত্ব।

পশ্চিমবঙ্গ ও বেকারত্বঃ--

 দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। স্বল্প শিক্ষিতের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষিত কর্মহীনের সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সঙ্গে ছোট হয়ে আসছে কর্মসংস্থানের পরিধি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও এম বি এ, বি এস সি, এর মতো সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে অনেক উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ঘুরছেন বেকারত্ব নিয়ে। দেশে স্বল্প শিক্ষিত ও মধ্যম শিক্ষিতের কর্মসংস্থানে যে সংকট, প্রায় তার অনুরূপ সংকট উচ্চ শিক্ষিতের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও। কারণ একটাই অর্থাৎ তাদের সংখ্যা বাড়লেও চাকরির সুযোগ বাড়ছে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে শিল্প-কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্প্রসারণ ঘটছে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টির সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি খাতে বরাদ্দের অভাব পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে, ভারতে চাকরির বাজার ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। আর এর ফলে ২০১৭ এবং আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতে বেকারত্ব বাড়বে বলেই মনে করছে ওই সমীক্ষা। ফলে  নতুন প্রজন্মের কপালে চিন্তার ভাঁজ এই সমীক্ষা আরও বাড়বে বলেই মত ওয়াকিবহালমহলের। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে বেকারত্বের হার।

এতোক্ষন আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম সংক্ষিপ্ত ভাবে বেকারত্ব ও তার কারন।। এবারে তুলে ধরবো মুসলিম সমাজের বেকারত্ব কেন??কি জন্য??কি কারনে মুসলিম সমাজ অবহেলিত??ইসলামিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে বেকারত্ব??

ইসলামের নির্দেশ হল-
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“ অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরাপৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়(রুজিরোজগার অন্বেষনে) এবং আল্লাহর করুনা ভাণ্ডার থেকে অনুগ্রহ তালাশ কর ওআল্লাহকে অধিক স্মরন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও(সূরাজুমুয়াহঃ১০)।

আয়াতে উল্লিখিত “ফযল(অনুগ্রহ)” শব্দটিকে গভীরমনযোগের সাথে বুঝতে হবে। এ শব্দটির মাধ্যমে মহান আল্লাহতায়ালা কি 
বোঝাতে চাচেছন? এখানে গভেষনার অন্তর চক্ষখুলে দিন!তবেই বুঝবেন “ফযল(অনুগ্রহ)” দ্বারা আল্লাহর 
উদ্দেশ্য হল কর্মক্ষেত্রতৈরী করার জন্য যত গুলো উপকরন বা নিয়ামতের প্রয়োজন 
সবকিছুর যোগান তিনি পূর্বে থেকেই তৈরী করে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। এখন মানুষের কর্তব্য হল বেকার না থেকে কর্মের মাধ্যমে এই উপকরন গুলো একত্রিত করে একটি কার্যকারনে পরিনত করা। এ স্থানে আল্লাহ তায়ালা মানুষের কর্ম গুলোকে পুরোপুরি সৃজনশীলতা ও অধ্যবসায়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। যে তার কর্মে যতটুকুন মনযোগী ও শ্রম দিবে সে ততটুকুই সফল হবে। আর তাই খোদা প্রদত্ত মেধা কাজে লাগিয়ে  
আজ যতই মহাকাশে উড্ডয়ন করুক, দুরারোগ্য ব্যাধির 
প্রতিষেধক এবংচিকিৎসা আবিস্কার হউক,
বিশাল বিশাল শিল্প কারখানা নির্মান,প্রযুক্তির 
বিস্ময়কর ইন্টারনেটের আবিস্কার, গগন চুম্বি 
সুরম্যঅট্রালিকা দেখে অত্যাচর্য হবার কিছুই নেই। বরং ভবিষ্যতে আরওঅনেক আল্ট্রা(অত্যাধুনিক) অবিস্কার অপেক্ষা করছে এটাই স্বাভাবিক। যা আল্লাহই ব্যবস্থা করে রেখেছেন। শুধু আমার আর আপনার বেকারত্ব গুছিয়ে কর্মে নেমে পড়ার অপেক্ষা। ফযল(অনুগ্রহ)এর সদ্যব্যবহার করতে নিরন্তর কাজ করে যাওয়া, ইহা আল্লাহর নির্দেশ।কাজেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে সম্পদ 
অর্জনের লক্ষে নিরন্তর কাজ করে যাওয়া মুমিনের সর্বোত্তম ইবাদত।


আল্লাহতালা হুকুম ও নবী গনের কর্মজীবনঃ---

শুধুমাত্র আল্লাহর প্রেরিতমহান নবী ও
রাসূলগনের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা
যাবে তাদের প্রত্যেকের জীবন পরিচালনা ছিল
বর্তমান চিত্রের সম্পুর্ন বিপরীত। তারা সকলেই নবুয়তের মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য কর্মে লিপ্ত হতেন।


হযরত আদম (আলাইহিসালাম)পৃথিবীতে
অবতরনের পর জীবিকা নির্বাহের জন্য হযরত জিব্রাঈলআমীন এর নিকট পরামর্শ চাইলে তিনি উত্তরে বললেন- হে আদম!তুমি যদি নিজস্ব প্রয়োজন মিটাতে চাও তাহলে কৃষি কাজের অনুবর্তী হও।

 হযরত নূহ (আলাইহিসালাম) দীর্ঘ নয়শত
পন্ঞ্চাশ বছর যাবৎ কাঠমিস্ত্রির পেশায় নিয়োজিত থেকে দাওয়াতি কাজ করেন।

 একই ভাবে 
হযরত দাউদ (আলাইহিসালাম) খেজুর গাছের পাতা
দিয়ে জাম্বিল বানিয়ে তা বাজারে বিক্রি করতেন।

 হযরত মূসা (আলাইহিসালাম) হযরত শোয়াইব
 (আলাইহিসালাম) এর দশবছর রাখাল বৃত্তি
করেছিলেন।

 হযরত ঈসা (আলাইহিসালাম) কে একজন
জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের মাঝে কে উত্তম? তিনি বললেন যেপরিশ্রম করে নিজের রোজ
কারের টাকায় খাবার গ্রহন করে। 
আর আমাদের প্রিয় নবিজী (আলাইহিসালাম) তো
স্বয়ং শৈশবে রাখাল বৃত্তি করেছেন,যৌবনে
সিরিয়া সহ বিভিন্ন শহরে ব্যবসার কাজে
নিয়োজিত ছিলেন।
এমন কি রাসুল (সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লাম) বলেছেন- “ শ্রমিক আল্লাহর বন্ধু শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে যাবার আগে পার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও"।।


এখন লক্ষ্যের বিষয় যে আজকের মুসলিম সমাজের মাঝে কি এই নিদর্শন আছে??কেউ ধর্ম কে ধরতে গিয়ে কর্ম কে ছেড়েছে, বা কেউ কর্ম কে ধরতে গিয়ে ধর্ম কে ছেড়েছে।

বেকারত্বের প্রভাব মুসলিম সমাজের উপরঃ---

মুসলমানদের অধঃপতনের অন্যতম কারণ হলাে বেকারত্ব ও অকর্মন্যতা। বেকারত্বের কারণে অভাবগ্রস্থ, অভাবগ্রস্থের কারণে ঋণগ্রস্ত এবং ঋণগ্রস্তের কারণে হতে হয় অপদস্ত। অভাবগ্রস্ততা অনেক অপরাধের মূল। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মস্তানি ইত্যাদি প্রধানতঃ বেকারত্ব ও অভাব গ্রস্তের কারণেই হয়ে থাকে। দারিদ্রের হার মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। নির্লজ্জের মত যেখানে সেখানে হাত পাততে দ্বিধাবােধ করে না। অনেক ধর্ম ব্যবসায়ী পেশাদার ওয়ারেজকে দেখা যায়, ওয়াজ করার পর শ্রোতাদের কে বলে-ভাইগণ আমি একজন গরীব লােক, আমাকে সাহায্য করুন। এ দু'টি শব্দে সম্পূর্ণ ওয়াজ বেকার হয়ে যায়। অভাবের কারণে নামায-রােযা ইত্যাদি ইবাদতের ও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। 


শেখ সাদী (রহমতুল্লাহে আলাইহি) খুব সুন্দর বলেছেনঃ-----

غم اهل وعیال وجامه وقتی بازت أرد زسیر در ملکوت!
شب چو عقد نماز بر بندم چه خورد بامداد فسر زندمم

و
অর্থাৎ "স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ভরণ পােষণের চিন্তা ইবাদত কারীকে আধ্যাত্মিক জগতের ভ্রমণ থেকে টেনে নিচে নিয়ে আসে। নামাযের নিয়ত বাঁধা মাত্রই স্মরণ হয় যে কাল সকালে ছেলেরা কি খাবে"।


এজন্য বেকারত্বের অবসান ঘটানাে এবং নিজ নিজ ছেলে দের কে বখাটে হওয়া থেকে রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উচিত। যুবকদের কে যে কোন কাজে নিয়ােজিত রাখা উচিত। অন্যান্য জাতি থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। হিন্দুদের ছােট ছেলেমেয়েদেরকে হয়তাে স্কুল-কলেজে অথবা রাস্তাঘাটে ছােটখাট জিনিসপত্র ফেরি করে বিক্রি করতে দেখা যায়। মুসলমানের ছেলেদেরকে হয়তাে ঘুড়ি উড়াতে অথবা অন্যান্য খেলাধুলায় ব্যস্ত দেখা যায়। অন্যান্য জাতির যুবকদেরকে অফিস-আদালতের বিভিন্ন চেয়ারে বা ব্যবসায় ব্যস্ত দেখা যায়। কিন্তু মুসলমানের যুবকদেরকে ফ্যাশন বিলাসিতা ইত্যাদিতে মগ্ন অথবা চাঁদাবাজি, মস্তানি ইত্যাদি কাজে দেখা যায়। রংবাজি, ধোঁকাবাজি, খুন-খারাবি, ছিনতাই,মােট কথা অধঃপতনের সব গুণ মুসলমান জাতির মধ্যে পুঞ্জিভূত হয়েছে। মদখাের, জুয়াড়ী, সন্ত্রাসী ইত্যাদির মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান। আফসােস, যে দ্বীন অসৎ-বদমাইশ দেরকে দুনিয়া থেকে বিতাড়িত করতে এসেছে, সে দ্বীনের অনুসারীরা আজ বদমাইশদের মধ্যে ১ম স্থান অধিকারী।


এত কিছুর পরও আমাদের টিকে থাকা ও আমাদের উপর আল্লাহর গজব না আসার একমাত্র কারণ হলাে আমরা হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহতাআলা ফরমায়েছেনঃ
وما كان الله ليعذبهم وانت فيهم
(অর্থাৎ হে মাহবুব, আপনি ওদের মধ্যে যতক্ষণ আছেন, আল্লাহর কাজ নয়। যে ওদের প্রতি আজাব নাযিল করা)।

তা নাহলে আমাদের পরিণতি খুবই মারাত্মক হতাে। আগের উম্মত গুলােকে যে ধ্বংস করা হয়েছিল, তা মাত্র এক একটি অপরাধের কারণে যেমন শুয়াইব আলাইহিস সালামের উম্মত ওজনে কম দেওয়ার কারণে, লুত আলাইহিস সালামের উম্মত হারাম কাজের কারণে ওদের প্রতি খােদার গজব নাযিল হয়েছিল। কিন্তু আমরা এমন সব কাজ করিতেছি, যা ওদের বাপ দাদারা কল্পনাও করেনি। দুধ থেকে ননী বের করে নেয়া, ডালডাকে খাঁটি গাওয়া ঘিতে পরিণত করা, সরিষার তৈলের সাথে সয়াবিন তৈল মিশ্রিত করা, দেশী কাপড়কে বিদেশী সীল মেরে বিক্রি করা, মােট কথা যত জালিয়াতি আছে, সব ব্যাপারে আমরা পটু। এখনও সময় আছে, সতর্ক হয়ে যান। অনতি বিলম্বে এসব থেকে তওবা করে হালাল কাজকর্ম শুরু করুন। আমি নিম্নে বেকারত্বের কুফল ও হালাল উপার্জনের ফযীলত সমূহ দলিল ও যুক্তি সহকারে পেশ করছিঃ


হালাল উপার্জনের ফযীলত সমূহঃ--

(১) হুযুর আনােয়ার (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমায়েছেন সবচেয়ে উত্তম খাদ্য হচ্ছে সেটা, যা মানুষ স্বীয় হাতের উপার্জন দ্বারা খায়। হযরত দাউদ আলাইহিস সালামও স্বীয় উপার্জন থেকে খেতেন।
(বােখারী ও মিশকাত উপার্জন অধ্যায় দ্রষ্টব্য)

 (২) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান, পবিত্র জিনিস হচ্ছে সেটা, তা তুমি স্বীয় উপার্জন থেকে খাও এবং তােমার সন্তানেরাও তােমার উপার্জন অর্থাৎ মা-বাপ সন্তানদের উপার্জন খেতে পারে।
(তিরমিযী, ইবনে মাযা)।


(৩) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান, এমন এক যুগ আসবে, যে সময় টাকা-পয়সা ছাড়া কোন কাজ হবে না।

(৪) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান, হালাল উপার্জন ফরযের
পর ফরয। (বায়হাকী) অর্থাৎ নামায রােযার
পর হালাল উপার্জন ফরয।
(৫) হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান, আল্লাহতাআলা মুসলমানদেরকে সেই জিনিসের হুকুম দিয়েছেন, যেটার হুকুম নবীগণকে দিয়েছিলেন।


যেমন আল্লাহতাআলা নবীগণকে সম্বােধন করে ফরমায়েছেন
يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا
(হে রসুলগণ, হালাল রিজিক উপার্জন করুন এবং নেক আমল করুন)। এবং মুসলমানগণকে বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ
(হে মুসলমানগণ, আমার প্রদত্ত হালাল জিনিসমূহ খাও)।


(৬) অনেক লােক হাত প্রসারিত করে একান্ত বিনীতভাবে দু'আসমূহ প্রার্থনা করে। অথচ ওদের খাদ্য ও পােষাক হারাম উপার্জনের হয়ে থাকে। তাই ওদের দুআ কিভাবে কবুল হতে পারে। (মুসলিম)।

(৭) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান, তিন ধরনের লােক ব্যতীত
 অন্য কারাে ভিক্ষা করা নাজায়েয। এক, যে কোন কর্জগ্রহীতার জামিন হয়েছিল এবং
সেই কর্জ ওকে দিতে হচ্ছে। দুইঃ যার সম্পদ
দৈব ঘটনায় বিনষ্ট হয়ে গেছে। তিনঃ যে অভাবের কারণে উপবাস থাকছে। এ তিন ধরনের নাক ব্যতীত অন্যদের ভিক্ষা করা হালাল নয়। (মুসলিম, মিশকাত, যাকাত অধ্যায় দ্রষ্টব্য)।


(৮) একবার হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমতে এক আনসারী ভিক্ষা চাইলাে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেনঃ তােমার ঘরে কিছু আছে? আরয করলাে, মাত্র একটি কম্বল ত ছে, যেটি অর্ধেক বিছিয়ে অর্ধেক গায়ে দি এবং একটি পেয়ালা আছে, যেটা দিয়ে পানি পান করি। ফরমালেন, সে দু’টা নিয়ে এসাে। সে নিয়ে আসলাে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত সাহাবাগণকে সম্বােধন করে ফরমালেন, এ দু’টা খরিদ করার কে আছে? একজন আরয করলেন, আমি এক দিরম্ দিয়ে নিতে রাজি আছি। পুনরায় হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এক দিরম থেকে অধিক দিতে রাজি কে আছে? অন্য একজন আরয করলেন, আমি দু’দিরম দিয়ে খরিদ করতে রাজি আছি। হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম) জিনিস দু’টা ওনাকে দিয়ে দিলেন (নিলাম প্রমাণিত হলাে) এবং দিরম দু’টি সেই ভিক্ষুককে দিয়ে ফরমালেন, এক দিরমের খাদ্যশস্য ক্রয় করে ঘরে রেখে এসাে। এবং অপর দিরম দিয়ে একটি কুড়াল ক্রয় করে আমার কাছে নিয়ে এসাে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ পবিত্র হাতে সেই কুড়ালে হ ল লাগিয়ে দিলেন এবং ফরমালেন-যাও, লাকড়ী কেটে বিক্রি কর এবং পনের দিন পর আমার সাথে দেখা কর। নির্দেশমত সে আনচারী পনের দিন পর্যন্ত লাকড়ী কেটে বিক্রি করলাে এবং পনের দিন পর বারগাহে নববীতে হাজির হলাে। তখন ওর কাছে খাওয়া-দাওয়া বাবত খরচের পর দশ দিরম অবশিষ্ট ছিল। সেই টাকার কিছু অংশ দিয়ে কাপড় এবং কিছু অংশ দিয়ে খাদ্যশস্য ক্রয় করলাে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওকে ফরমালেন, তােমার জন্য এ কষ্ট ভিক্ষা থেকে উত্তম। (ইবনে মাযা, মিশকাত, যাকাত অধ্যায় দ্রষ্টব্য)।

 (৯) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-হযরত আবু যর (রাদি আল্লাহু আনহু):কে ফরমালেন, তােমরা লােকদের থেকে কিছু প্রার্থনা কর না। আরয করলেন,খুবই ভালো খুবই ভাল। পুনরায় ফরমালেন, যদি ঘােড়ার উপর থেকে তােমাদের চাবুক নিচে পড়ে যায়, তাহলে সেটাও উঠায়ে দেয়ার জন্য কাউকে বল না,
নিজে নেমে উঠায়ে নও। (আহমদ, মিশকাত)


(১০) হযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান, যে ব্যক্তি ভিক্ষা না করার জিম্মাদার হয়ে যায়, আমি ওর জন্য জান্নাতের জিম্মাদার। (নসাঈ, আবু দাউদ)।

(১১) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান, যে ব্যক্তি নিজের অভাব অনটনের আর্জি বান্দার কাছে পেশ করে, আল্লাহতাআলা ওর অভাব অনটন বৃদ্ধি করেন।

যুক্তির আলােকে উপার্জনের উপকারিতাঃ---

(১) হালাল উপার্জন নবীগণের সুন্নাত,
(২) উপার্জনের দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং
 বর্ধিত সম্পদ দান-খয়রাত, হজ্ব-যাকাত, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ইত্যাদি কাজে ব্যয় করা যায়। হযরত উসমান (রাদি আল্লাহু আনহু) সম্পদের মাধ্যমে জান্নাত ক্রয় করে নিয়েছেন। এজন্য ওনার বেলায় বলা হয়েছে- افعلوا ما شئتم
অর্থাৎ (যা খুশী তা করতে পারেন)

(৩) উপার্জন মানুষকে অনেক অপরাধ থেকে বিরত রাখে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, ঝগড়া-বিবাদ, বদমায়েশী অলসতা ইত্যাদি বেকারত্বের পরিনাম।


(৪) উপার্জন দ্বারা মানুষের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায় এবং মন থেকে অহংকার বিদূরিত হয়।
 (৫) অভাব অনটন থেকে রক্ষা পাবার উপায় হচ্ছে উপার্জন।
 (৬) যে কেউ যখন উপার্জনের জন্য বের হয়, তখন আমলনামা লিখার জন্য নিয়ােজিত ফিরিশতাদ্বয় বলেন, আল্লাহ তােমার এ প্রচেষ্টার মধ্যে বরকত দান করুক এবং তােমার উপার্জনকে জান্নাতের ভাণ্ডারে পরিণত করুক। এ দুআর সময় আসমান-জমিনের সমস্ত ফিরিশতা আমীন’ বলেন। (তফসীর নঈমী ২য় পারা দ্রষ্টব্য)।


পরিশেষ এই বলতে হয় আল্লাহতালা প্রত্যেক ইমানদার এর প্রতি জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করেছেন.(আলহামদুলিল্লাহ্‌)
আপনি তো মুসলিম?? আপনি কি জ্ঞান অর্জন করছেন??উত্তরঃ--- হা/না
যদি করেন তাহলে সেই জ্ঞান কে কি ভাবে ব্যয় করছেন হালাল পথে??না হারাম পথে??

যদি জ্ঞান অর্জনকারী না হন?? তাহলে আপনার জীবনে কল্যান আসবে কি করে??আপনার জন্য যেমন নামায ফরজ করা হয়েছে ঠিক সেই একই ভাবে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করা হয়েছে(এই জন্য যে সেই জ্ঞানের মাধ্যমে হালাল রুজি খুঁজবেন)।।

আল্লাহতালা আপনাকে আমাকে জ্ঞান অর্জনকারী দের অন্তর্ভুক্ত করুন সাথে সাথে হালাল উপার্জক কারী দের অন্তরে সামিল করুন।।
সেই জ্ঞান অর্জন ও উপরার্জনের দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণকর হোক।।আল্লাহতালা সকল কে বোঝার তৌফিক দান করুন।।

বিঃদ্রঃ--- যখন কোরআন হুকুম করছে তোমরা নামাজ পড়ো পড়ার পরেই রুজিরোজগার জন্য দুনিয়াতে ওসিলা তালাশ করো।।তাহলে আপনি কেন মসজিদের মধ্যে পড়ে আছেন???
তোমরা মসজিদ কেও ছেড়ে দিওনা,তোমারা জীবিকাহীন জীবনপথ থেকে মুখ ফিরিয়ে মসজিদ মুখী হয়োনা।জীবিকা অন্বেষণ করো আল্লাহতালা অধিক ইবাদত করতে।।তার মাঝে কল্যাণ আছে।
লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন।।


*তথ্য সূত্রঃ---*
(উইকিপিডিয়া, ইসলামী জীবন ব্যাবস্থা,সহ অন্য কিতাব)


Wednesday, 4 April 2018

আজকের পবিত্র শবে বরাত এর রাত কে আপনার ইবাদত এর মাধ্যমে আরো পবিত্র করে তুলুন।।কিছু সংক্ষিপ্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত গুলি যেনে নিন।

আল্লাহ্‌ পাক যাকে ভালো বাসেন তাঁর রহমত দান করেন।।আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌রর রসুল সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম এর ভালোবাসা আমরা পাবো কিভাবে???
আল্লাহ্‌ পাক বলেন এ বান্দা তুমি আমার রসুল এর উপর দরুদপাঠ ও সালাম পাঠ কর।।চলতে ফিরতে শুতে বসতে আপনি আমার নবি পাক সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম এর উপর দরুদ ও সালাম পাঠের মাধ্যমে নফল ইবাদত করুন।।আজকের পবিত্র রাতকে আরো পুন্যময় করে তোলুন, যার যার আব্বু আম্মুকে পড়ে শুনান : সবাই শেয়ার করুন প্লিজ
২০ মিনিটে ২০ খতম আল-কুরআনের সওয়াব :-
নিজে জানুন আমল করুন অপরকে জানান।
এতে যদি ১ থেকে হাজার মানুষ পর্যন্তও ছড়ায় আর তা শিক্ষা গ্রহন করে আপনার দ্বারা উপকার প্রাপ্তদের সকলের সওয়াব আপনার আমলনামায় দেয়া হবে ইনশা-আল্লাহ।
(১)★ সুরা ফাতিহা ৩ বার পড়লে আল-কুরআন ২বার খতমের সওয়াব হয়।(তফসীরে মাযহারী ১ম, পৃ ১৫)
(২)★ সুরা ইখলাস ৩ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।(সহিহ বুখারী ২য়, পৃ ৬৫০)
(৩)★ সুরা ইয়াসিন ১ বার পড়লে ১০ খতম এর সওয়াব হয়।(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৬)
(৪)★ সুরা কাফিরুন ৪ বার পড়লে খতমের সওয়াব হয়।(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
(৫)★ সুরা যিলযাল ২ বার পড়লে ১খতমের সওয়াব হয়।(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
(৬)★ সুরা ক্বদর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।(দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৮০)
(৭)★ আয়তুল কুরসী ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।(তফসীরে মাযহারী ২য় খন্ড, পৃ ৩১)
(৮)★ সুরা নসর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
(৯)★ সুরা আদিয়াত ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।(দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৯৫)
(১০)★ সুরা তাকাসুর ১ বার পাঠ করলে১০০০ আয়াত পাঠের সমান সওয়াব হয়।(বায়হাকী, মিশকাত ১ম, পৃ ১৯০)
(১১)★ দুরুদে লাকী ১ বার পড়লে ১লক্ষ বার দুরুদ পাঠের সমান সওয়াব হয়।
(১২)★ ২০ লক্ষ নেকীর দোয়া :-” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা’লাহু আহাদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউ লাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ ”
পরিশেষে,রাসুল (সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মে কোনো সুন্নাতুল হাসানা উত্তম প্রথা/রীতি প্রবর্তন করেন, তিনি এর সওয়াব পান এবং যারা তার পরে ওতে আমল করবে, তাদের সওয়াবও তিনি পেতে থাকেন; আর তাদের (পরবর্তী আমলকারীদের) সওয়াবেরও এতে ন্যূনতম কমতি হয় না। অনুরূপ ভাবে কেউ যদি ধর্মে খারাপ কিছু সংযোজন করে আর কেউ তা অনুসরণ করে, সে ওই মন্দের জন্য দায়ী থাকবে।”
[সাহীহ মুসলিম> ৬৪৬৬]
রাসূল সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম ইরশাদ করেন-আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও [মানুষের কাছে] পৌঁছে দাও।
*তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৫৫৭০,
*সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪,
*সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬২৫৬,
*সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৬৯।।
আল্লাহ্‌ পাক আপনাকে আমাকে আরো বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফীক দান করুন।।এই লিঙ্ক কে বেশি বেশি প্রচার করার তৌফীক দান করুন।।

অাজ থেকে প্রতিটি রাত্রির জন্য কিছু দারুন আমল।
আজরাত থেকে লাইলাতুল কদর তালাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। লাইলাতুল কদর কবে হবে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যান তবে সে রাত্রের আমল হবে টানা ৮৩ বছর ৪ মাসের সমান। সুতারাং প্রতিরাতে আমলগুলি করতে ভুলবেননা। সময় কম যাবে… নেকীর পাল্লায় বেশি হবে। বেশি বেশি শেয়ার করুন। আপনার শেয়ারেই আরেকজন লোক জানতে পেরে আমল করতে পারবে যার কারনে তাঁর সম্পূর্ণ সাওয়াব আপনিও পাবেন।
==================================
 প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে একশটি আয়াত পড়ুন… তাহলে সারারাত্রিতে টানা তাহায্যুদ নামায পড়ার সাওয়াব পাবেন। (সহিহুল জামে ৬৪৬৮)
সূরা কদর থেকে সর্বশেষ সূরা নাস পর্যন্ত পড়তে পারেন। কম সময়ে অতি সহজে ১০০ আয়াত পূর্ন করতে পারবেন।
 প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে দশটি আয়াত পড়ুন। তাহলে আপনার আমলনামায় কিন্তার পরিমান সাওয়াব লিখা হবে। কিন্তার হল পৃথীবি ও তার মধ্যস্থ সকল কিছুর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। ( সহিহ তারগিব ৬৩৮)
 বেশি বেশি "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" জিকিরটি করবেন। একবার "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" পাঠ করা হলো আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমান স্বর্ণ দান করার চেয়েও উত্তম। ( সহীহ আত তারগীব ১৫৪১, তাবারানি ফিল কাবির ৭৭৯৫)
 উম্মু হানি (রা) রাসূল (ﷺ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ " তুমি ১০০ বার "সুব'হা-নাল্লাহ" বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে। তুমি ১০০ বার "আল হামদু লিল্লাহ" বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তুমি ১০০ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।তুমি ১০০ বার "লা-ইলাহা ইল্লাহ" বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে (এবং তোমার কোন পাপই বাকি থাকবেনা)....
#রেফারেন্সঃ মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৪৪, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫২,নং ৩৮১০, নাসাঈ, কুবরা ৬/২১১, মুসতাদারাক হাকিম ১/৬৯৫, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/৯২; আলবানী সহীহাহ ৩/৩০২,৩৯০,নং ১৩১৬।
 মসজিদে ফরয নামায পড়তে গেলে বাড়ি থেকে ওযু করে যাবেন। তাহলে আপনার আমলনামায় একটি কবুল হজ্জের সাওয়াব লেখা হবে। (মিশকাত ৭২৮)
সবাইকে জানিয়ে দিন।

Featured post

সালাতুল ইস্তেখারা নামাজের বর্ননা।।

  সালাতুল ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম Madina Madina Madina   আমরা এই নামাজ কেন পড়ব?  কোন কাজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে, অর্...